বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি খালে ধ্বসে পড়েছে বগাইছড়ি-ডুলহাজারা সড়কের কালভার্ট।
এ সময় সড়কের কিছু অংশ ভেঙ্গে খালে বিলীন হয়ে বর্তমানে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কালভার্টটি খালে ধ্বসে পড়লে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে বগাইছড়ি এলাকার প্রায় দশ হাজার মানুষ। বগাইছড়ি খাল ভাঙ্গনরোধসহ দ্রত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী।
স্থানিয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুল মুকিচ জানান, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে প্রায় ৩৫ বছর আগে বগাইছড়ি-ডুলহাজারা সড়কসহ কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। গেল বর্ষা ও চলতি বর্ষার কয়েক দফার প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতের টানে বগাইছড়ি খালে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বিগত কয়েকদিন আগের একটানা বর্ষনের কারনে খালের ভাঙ্গন আরও তীব্র আকার ধারন করে সড়কের কালভার্টটি হুমকির মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে খালে হেলে পড়ে যায় কালভার্টটি। এতে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বগাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, বগাইছড়ি বাজার ও কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা সেবা নিতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার জনসাধারন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আক্তার বলেন, বগাইছড়ি খাল ভাঙ্গনে শুধু কালভার্ট নয়, ইতিমধ্যে বসতবাড়িসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। খাল ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রত ব্যবস্থা নেয়া জররী হয়ে পড়েছে। না হয় পুরো সড়ক খালের গর্বে বিলিন হয়ে স্থায়ীভাবে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লামা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন বলেন, ডুলহাজারা-বগাইছড়ি সড়কের কালভার্ট খালে ধসে পড়ার খবর পেয়ে বান্দরবান জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বগাইছড়ি খালে কালভার্ট ধ্বসে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, কালভার্ট ধ্বসে পড়ার কারণে বিভিন্ন এলাকার প্রায় আট-দশ হাজারেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে সংশিষ্ট এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
পাঠকের মতামত